হায়দার
মিয়া আর তার বউ শুরুবানু দুইজনেই প্রচণ্ড ঝগড়াটে স্বভাবের, কেউ কাউকে ছার দিতে চায়
না। যখন ঝগড়া হয় দুইজনেই অশ্লীল ভাসায় গালাগালি করে। দুই জনেই তুচ্ছ কারণে নিকট
আত্মীয়ের সাথে ঝগড়া করে এবং সম্পর্ক ছিন্ন করে।
হায়দার
মিয়ার ছেলে রেদয়ান আর ওর স্ত্রী কুসুম দুজনেই গৃহস্থালি কাজে পটু, ঝাল মুড়ি,
ফুচকা, ভাজা ফ্রাই ওদের প্রিয় খাবার। রেদয়ান ভাল মুড়ি বানাতে পারে, আর কুসুমের হাতের
ভর্তা জাতীয় খাবার যেন অম্রত। দুজনেই স্বল্প শিক্ষিত এবং স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন।
রেদয়ান
এর খালু লোকমান আর তার স্ত্রী রানু খুবি আত্মকেন্দ্রিক দুইজন মানুষ, কখন অন্যের
বেপারে নাক গলায় না। আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও তারা বেশি একটা যাতায়াত করে না।
ছেলেমেয়ের বিয়ে ছাড়া তারা বাড়িতে এমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে না যেখানে আত্মীয়
বা প্রতিবেশীর উপস্থিতি থাকে। বিষয়টা এমন যদি মদ্ধরাতে পাশের বাড়িত ডাকাত পরে, তাহলে
লাইট জালিয়ে পরস্পর বলাবলি করবে- এই চিৎকারের আওয়াজ শুনলাম- হ্যাঁ, আমিও সুনেছি,
পাশের বাড়িত ডাকাত পরছে, দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমাও।
লোকমানের
মেয়ে ফরিদা আর ফরিদার হাসবেন্ড ইখলাস দুজনেই প্রচণ্ড কৃপণ, আত্মবিশ্বাসহীন, লাজুক
এবং আত্মকেন্দ্রিক লোক। এরাও অন্যের বেপারে নাক গলায় না।
ইখলাসের
বড় ভাই মাহমুদ আর মাহমুদের স্ত্রী আয়শা, দুইজনেই খুবি বিনয়ী, আত্মবিশ্বাসী,
স্পষ্টভাষী লোক। ওরা কখনোই চায় না ওদের কারণে বা ওদের কোন ব্যবহারে আশেপাশের মানুষ
কষ্ট বা আঘাত পাক। দুজনেই একে অপরের মতামত কে প্রাধান্য দেয়।
SO আমরা যত পেয়ার-মোহাব্বত ই করিনা কেন, যতই প্রেম প্রেম
খেলা-ধুলা করিনা কেন দিন শেষে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার সাথেই মিলাবে যার জন্য আমরা
পারফেক্ট।
written by
No comments:
Post a Comment
comment