ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ।

Sunday, October 28, 2018

এটা একটা প্রেমের কাহিনি-৬


রাধা কেম্পাসে গিয়ে নাভিদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে, কিছুক্ষণ পরেই নাভিদ কেম্পাসে প্রবেশ করে সাথে আইরিন। রাধা দৌড়ে নাভিদের সামনে গিয়ে হাপাতে হাপাতে বলতে শুরু করে- হায় নাভিদ, তোমার সারপ্রাইজ টা খুব সুন্দর হয়েছে, I like it very much, thanks for everything.
নাভিদ- আমি কখন সারপ্রাইজ করলাম তোমাকে?
রাধা- তাহলে ঐ ফুল চারা গুলো তুমি পাঠাও নাই।
নাভিদ- নাতো
রাধা- আর I love you লেখা চিরকুট?
নাভিদ- সেটাও আমার না। হয়ত দিয়েছে কোন থার্ডক্লাশ ছেলে, যার কোন চয়েজ নেই। নয়ত তোমার মত চিপ থার্ড ক্লাস মেয়ের পিছনে কে টাইম অয়েস্ট করে।
রাধা- নাভিদ
নাভিদ- আহা,, এতো শকিং হওয়ার কি আছে, এখনো ত আসল সারপ্রাইজ বাকি।
রাধা-মানে??
দূর থেকে মবিন কে আসতে দেখে ডাক দেয়- মবিন এদিকে আয়। তোদের দুইজনের জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। meet my girlfriend airin. আজ থেকে আমি আর আইরিন কাপল। এখন যাই, পরে কথা হবে।
নাভিদের কথা শুনে সবাই কিংকর্তব্যবিমুড়।
***
আইরিন - নাভিদ ভাই এটা কিছিল?
নাভিদ- কি?
আইরিন - কথা ছিল মবিনের সামনে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড এর অভিনয় করা, আপনি এর মদ্ধে আবার রাধা কে জড়ালেন কেনো?
নাভিদ- এটা না করলে রাধা গিয়ে মবিনকে সব বলে দিত, ও এক্টা ঠোটকাটা, ওর পেটে কোন কথাই থাকেনা।
আইরিন- কিন্তু আপনার বিহেইভ দেখে মনে হয়েছে, আপনাদের মদ্ধে পুরনো কোন শত্রুতা বা সম্পর্ক আছে।
নাভিদ- তোমার মাথা কম চালাও, জানোনা মেয়ে মানুষ এর বুদ্ধি হাটুতে থাকে। আর শুনো, মবিনকে বেশি বেশি এভয়েড করবা তাহলে ও তোমার প্রেমের সাগরে জাম্প মেরে হাবুডুবু খাবে।
আইরিন - থাক, আপনাকে আর উপদেশ দিতে হবেনা, ভালই পেচ লাগাইছেন।
নাভিদ- এই কারনেই কারো উপকার করতে নেই। ছোট ছোট মুরুব্বিরা ঠিকই বলে উপকাররে বাঘে খায়।
***
আইরিনের হাসি, ঠাট্টা, দুষ্টামি, কথাবার্তা, ভালবাসা সবকিছুই মন থেকে মেনে নিয়েছে মবিন, কিন্তু বুঝতেই পারেনি কখন সে আইরিন কে ভালবেসেছে। হাটার সময় মবিন খুব শক্ত এবং বেলেন্সড হয়ে হাটে যাতে করে হঠাৎ করে আইরিন এসে ধাক্কাদিলে যেন ভারসাম্য হারিয়ে নাফেলে, কিন্তু আজতো আইরিন ধাক্কাদেয়নি। বইটাও পড়ার সময় খুব শক্ত ভাবে ধরে রাখে যাতে করে আইরিন টান দিতে না পারে, কিন্তু তেমন কিছুই হলনা। মনে মনে কেমন ডিস্টার্ব ফিল করছে মবিন, মনে হচ্ছে কিছু একটা নেই। আইরিনের বিভিন্ন বাহানায় গায়ে হাত দেয়া, মবিনের সিলি জক্সে হেসে ফেটে পরা, ইচ্ছা করে এক্সিডেন্টাল ধাক্কা খাওয়া সবকিছুককেই জেনো প্রবল ভাবে মিস করতে থাকে মবিন। আইরিনের ভালবাসা এখন মবিনের অভ্যাস, এমন একটা নেশায় পরিণত হয়ছে যা কখন ছাড়া যায়না। যার আসক্তি মানুষকে পাগল করে দেয়।
***
মবিন- কি হচ্ছে এসব আইরিন?
আইরিন - কোথায় কি হচ্ছে?
মবিন- তুমি দেখো না?
আইরিন - নাতো
মবিন- নাভিদ আর তোমার মদ্ধে কি চলছে?
আইরিন - কেনো তুমি কি জেলাস?
মবিন- দেখো, ফাজলামো করবা না আমার সাথে। আমাকে এভয়েড করছো কেনো?
আইরিন - তুমিইতো চাও আমি যেন তোমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকি। এখন আবার কি চাও।
মবিন- দেখো, তুমি আমাকে এভয়েড করতে পারবানা।
আইরিন- তাহলে কি করবো?
মবিন- আগের মত থাকবা আমার সাথে।
আইরিন - আগের মত দুষ্টামি করবো তোমার সাথে?
মবিন- হুম করতে পারো
আইরিন- রাগ করবে নাতো?
মবিন - নাহ
আইরিন- সত্যি
মবিন - হুম সত্যি
আইরিন- আহারে আমার গলুমলু কিউট বেবিটা। তাহলে যাও আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে আসো।
মবিন খুশিতে গদগদ করতে করতে ক্যাফেটেরিয়া থেকে দুইটা আইসক্রিম নিয়ে আসে।
আইরিন- কি বেপার দুইটা আইসক্রিম আনলে কেনো? তোমাকে না একটা আইসক্রিম আনতে বলছি।
মবিন- একটা তোমার আরেকটা আমার
আইরিন- কেন! একটা আইসক্রিম দুইজনে মিলে খাওয়া যায়না!! ধ্যাত,, তুমি একটা আনরোমান্টিক ছেলে, তোমার সাথে প্রেমই করবোনা।

No comments:

Post a Comment

comment

Contact Us

Name

Email *

Message *