কলিংবেলের শব্দে রাধার ঘুম ভাঙ্গে, ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলে দেখে কেও নেই। দরজা বন্ধ করতে যাবে
ঠিক তখনি দেখে দরজার সামনে একটা গিফটের প্যাকেট, তখনি মনে পরে আজ ওর বার্থডে। রাধা
প্যাকেট টা হাতে নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে বসে বসে ভাবতে থাকে গিফট টা নিশ্চয় সুভ্র পাঠিয়েছে। কত
কেয়ারিং একটা ছেলে, কত সুইট, ছোট খাটো বেপার গুলোতেও কত খেয়াল রাখে, আমাকে ভালোও
বাসে অনেক কিন্তু আমি কেন সুভ্রকে ভালোবাসতে পারিনা। আমার মন কেন নাভিদের জন্য স্পন্দিত হয়,
কেন আমার মন নাভিদ কে ঘৃণা করেনা। নাভিদ পারলে আমি কেন পারিনা কেন আমার প্রতি নাভিদের
এতো ঘৃণা। এতো অপমান করার পরেও আমি কেন বারবার ওর কাছেই যাই। আমার মন বলে নাভিদ
আমাকে ভালবাসে, কিন্তু বাস্তবতা বারবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নাভিদ আমাকে ঘৃণা করে।
নাভিদ কি আছে তোমার মনে? বাস্তবতা একটা কিন্তু আমার মন বলে আরেকটা। নাভিদ! আমি কেন
তোমাকে ভালবাসলাম? কিভাবে তোমাকেই ভালবাসলাম?
ঠিক তখনি দেখে দরজার সামনে একটা গিফটের প্যাকেট, তখনি মনে পরে আজ ওর বার্থডে। রাধা
প্যাকেট টা হাতে নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে বসে বসে ভাবতে থাকে গিফট টা নিশ্চয় সুভ্র পাঠিয়েছে। কত
কেয়ারিং একটা ছেলে, কত সুইট, ছোট খাটো বেপার গুলোতেও কত খেয়াল রাখে, আমাকে ভালোও
বাসে অনেক কিন্তু আমি কেন সুভ্রকে ভালোবাসতে পারিনা। আমার মন কেন নাভিদের জন্য স্পন্দিত হয়,
কেন আমার মন নাভিদ কে ঘৃণা করেনা। নাভিদ পারলে আমি কেন পারিনা কেন আমার প্রতি নাভিদের
এতো ঘৃণা। এতো অপমান করার পরেও আমি কেন বারবার ওর কাছেই যাই। আমার মন বলে নাভিদ
আমাকে ভালবাসে, কিন্তু বাস্তবতা বারবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় নাভিদ আমাকে ঘৃণা করে।
নাভিদ কি আছে তোমার মনে? বাস্তবতা একটা কিন্তু আমার মন বলে আরেকটা। নাভিদ! আমি কেন
তোমাকে ভালবাসলাম? কিভাবে তোমাকেই ভালবাসলাম?
****
নাভিদ বাথরুমে গোসল করতে থাকে, রুম মেট হালিম তার বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইলে মুভি দেখতে
থাকে, পাশের টেবিলের উপরে রাখা নাভিদের মোবাইলে রিং হতে থাকে, হালিম চিতকার দিয়ে নাভিদকে
ডাক দেয়= নাভিদ ভাই আপনের কল আইছে
থাকে, পাশের টেবিলের উপরে রাখা নাভিদের মোবাইলে রিং হতে থাকে, হালিম চিতকার দিয়ে নাভিদকে
ডাক দেয়= নাভিদ ভাই আপনের কল আইছে
অপর প্রান্ত থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় হালিম আবারো নিজের কাজে মনোযোগ দেয়। কিন্তু মোবাইলের
রিং বারবার বাজতেই থাকে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে হালিম নিজেই কল রিসিভ করে কথা বলে =নাভিদ
ভাই বাথরুমে গোসল করতাছে, আপনে একটু পরে কল দেন।
রিং বারবার বাজতেই থাকে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে হালিম নিজেই কল রিসিভ করে কথা বলে =নাভিদ
ভাই বাথরুমে গোসল করতাছে, আপনে একটু পরে কল দেন।
অপর প্রান্ত থেকে= ঠিকাছে নাভিদ আসলে বলবা ওর ভিসা রেডি এক সপ্তাহের মধ্যেই মালয়সিয়া যেতে
পারবে
পারবে
হালিম= নাভিদ ভাই মালয়সি…
কথা শেষ করার আগেই অপর পাশ থেকে লাইন কেটে দেয়। হালিম বসে বসে ভাবতে থাকে- নাভিদ
মালয়েশিয়া যাবে অথচ একবার ও বলল না।
মালয়েশিয়া যাবে অথচ একবার ও বলল না।
নাভিদ বাথরুম থেকে বের হয়ে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে হালিম কে জিজ্ঞেস করে = কিরে
ডাকছিলি আমারে?
ডাকছিলি আমারে?
হালিম= আপনে নাকি বিদেশ যাইবেন?
নাভিদ= হুম, বিশ্বের নাম্বার ওয়ান দূষিত শহরে আর নিঃশ্বাস নিতে মনে চায়না
হালিম= তো ভাই রাধার কি হইব?
নাভিদ= ওর টা ও বুঝব।
হালিম= ভাই একটা কথা বলি, বারবার একই ব্যাক্তির প্রেমে পরাই হল সত্যিকারের ভালোবাসা। রাধা
যখন আপনাকে চিনতো, তখনও আপনাকেই ভালোবাসতো। আর যখন আপনাকে চিনে না তখনও
আপনাকেই ভালোবাসে। এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা, সত্যিকারের প্রেম
যখন আপনাকে চিনতো, তখনও আপনাকেই ভালোবাসতো। আর যখন আপনাকে চিনে না তখনও
আপনাকেই ভালোবাসে। এটাই সত্যিকারের ভালোবাসা, সত্যিকারের প্রেম
নাভিদ= কিছু কিছু প্রেম কাহিনী মিলন হওয়ার জন্য লেখা হয়না, অসমাপ্তই থেকে যায়। তুই বুঝবিনা।
***
বেলকনিতে দাড়িয়ে রাধা আনমনে বাইরে তাকিয়ে থাকে, মনে মনে অনেক কিছুই ভাবতে থাকে। পিছন
থেকে টয়া এসে আকস্মিক ভাবে একটা ঝাকুনি দিয়ে জিজ্ঞেস করে=কিরে একা একা কার কথা ভাবছিস?
থেকে টয়া এসে আকস্মিক ভাবে একটা ঝাকুনি দিয়ে জিজ্ঞেস করে=কিরে একা একা কার কথা ভাবছিস?
রাধা চমকিত হয়ে উত্তর দেয় = কারো কথাই না।
টয়া = আমি তো জানি তুই অভ্রের কথা ভাবছিস
রাধা = মোটেই না
টয়া= আচ্ছা ঠিকাছে, চল বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
রাধা= নাহ, তুই যা, আমার ভালো লাগছেনা।
টয়া= আরে চল, ঘুরতে গেলেই ভালো লাগবে, ঘরে বসে থাকলে কি ভালো লাগবে নাকি
রাধা= আমার একা থাকতেই ভালো লাগছে, তুই যা।
টয়া= আরে চলনা।
রাধা= ঠিকাছে, কোথায় যাবি?
টয়া= আগে রাস্তায় বের হই, পরে ঠিক করব কোথায় যাওয়া যায়।
রাধা= মানে কি? কোথায় যাবি, সেটা জানিস না।
টয়া= আরে তুই এতো টেনশন করিস না, সব কিছু আগে থেকেই প্ল্যান করা।
রাধা= প্ল্যান করা মানে?
টয়া= তুই এতো প্রশ্ন করিস কেন? যাবি নাকি হাত পা বেধে নিয়ে যাব।
রাধা একটা মলিন হাসি দিয়ে উত্তর করে= ঠিকাছে এতো কষ্ট করা লাগবে না, আমি এমনেতেই যাব।
টয়া= এইনা হলে লক্ষ্মী মেয়ের মত কথা। রেডি হ, আমি আসতেছি।
***
টয়া হয়ত রাধার জন্য কিছু একটা প্ল্যান করেছে, রাধা এমনটা আঁচ করতে পেরেছে। কিন্তু পৃথিবির
কারো কাছে এমন কোন উপলোক্ষ নেই যা দিয়ে রাধাকে খুশি করা যাবে। আঘাতে আঘাতে রাধার অন্তর
জর্জরিত, ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত। রাধার মনে কোন ভরসাও নেই, কোন মিরাকেল এর আশাও এখন সে
করে না, যা রাধার জীবনে খুশিতে ভরিয়ে দিবে দূর করে দিবে সমস্ত কষ্ট।
কারো কাছে এমন কোন উপলোক্ষ নেই যা দিয়ে রাধাকে খুশি করা যাবে। আঘাতে আঘাতে রাধার অন্তর
জর্জরিত, ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত। রাধার মনে কোন ভরসাও নেই, কোন মিরাকেল এর আশাও এখন সে
করে না, যা রাধার জীবনে খুশিতে ভরিয়ে দিবে দূর করে দিবে সমস্ত কষ্ট।
টয়া আর রাধা কিছুক্ষন রিক্সায় ঘুরাঘুরি করে একটা ফুড কোর্টে প্রবেশ করে। প্রবেশ করতেই মাথার
উপরে কত গুলো বেলুন ফোটার শব্দ হয়, উপর থেকে কতগুলো রঙ্গিন কাগজ রাধার মাথার উপরে পরে।
চারপাশ থেকে হইহুল্লর শুরু হয়ে যায়, রাধার বন্ধুবান্ধব, ক্লাসমেট সবাই একসাথে রাধাকে জন্মদিনের
শুভেচ্ছা জানায়। রাধা প্রতিউত্তরে সবাইকে মলিন হাসি দিয়ে ধন্যবাদ জানায়। জন্ম দিনের কেক কেটে
রাধা টয়াকে এক টুকরো খাইয়ে দেয়, তা থেকে কিছু অংশ টয়া অভ্রকে খাইয়ে দেয়। অভ্র আরেক পিস
কেক নিয়ে রাধা কে খাইয়ে দিতে চায় কিন্তু রাধা অস্বীকৃতি জানায়। সুন্দর জমকালো পরিবেশে সবাই
আনন্দে মেতে উঠে, এমন আনন্দঘন মুহূর্তে সেখানে এসে পৌছায় হালিম। হালিম কে দেখে সবার হইহুল্লর
হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।কারণ হালিম নাভিদের বন্ধু আর নাভিদকে ওরা কেওই পছন্দ করেনা, সে হিসাবে
হালিমও পছন্দের বাইরে। রাধা আস্তে আস্তে হালিমের দিকে এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করে= আরে হালিম! তুমি
এখানে?
উপরে কত গুলো বেলুন ফোটার শব্দ হয়, উপর থেকে কতগুলো রঙ্গিন কাগজ রাধার মাথার উপরে পরে।
চারপাশ থেকে হইহুল্লর শুরু হয়ে যায়, রাধার বন্ধুবান্ধব, ক্লাসমেট সবাই একসাথে রাধাকে জন্মদিনের
শুভেচ্ছা জানায়। রাধা প্রতিউত্তরে সবাইকে মলিন হাসি দিয়ে ধন্যবাদ জানায়। জন্ম দিনের কেক কেটে
রাধা টয়াকে এক টুকরো খাইয়ে দেয়, তা থেকে কিছু অংশ টয়া অভ্রকে খাইয়ে দেয়। অভ্র আরেক পিস
কেক নিয়ে রাধা কে খাইয়ে দিতে চায় কিন্তু রাধা অস্বীকৃতি জানায়। সুন্দর জমকালো পরিবেশে সবাই
আনন্দে মেতে উঠে, এমন আনন্দঘন মুহূর্তে সেখানে এসে পৌছায় হালিম। হালিম কে দেখে সবার হইহুল্লর
হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।কারণ হালিম নাভিদের বন্ধু আর নাভিদকে ওরা কেওই পছন্দ করেনা, সে হিসাবে
হালিমও পছন্দের বাইরে। রাধা আস্তে আস্তে হালিমের দিকে এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করে= আরে হালিম! তুমি
এখানে?
হালিম= তোমার জন্ম দিনের পার্টি, আমাকে ইনভাইট করলানা, খুব কষ্ট পাইলাম।
রাধা= আসলে আমি এসবের কিছুই জানতাম না, ওরা আমার জন্য সাপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করছে।
সরি।
সরি।
হালিম= আরে কোন ব্যাপার না,
রাধা= তা, তুমি কি একাই আসছ নাকি সাথে কেউ আছে?
হালিম= নাহ, আমি একাই আসছি
রাধা= ও…
হালিম= ওইসব বাদ দাও তোমার জন্মদিনে আমি একটা গিফট আনছি।
কথার ফাকে অভ্র এসে হালিমের হাত থেকে গিফটের প্যাকেট খুলে দেখে তার মধ্যে একটা ডায়রি। অভ্র
হাঁসতে হাঁসতে বলে= এটা আবার কি? একটা পুরতন ডায়রি। জন্মদিনে কাউকে পুরাতন ডায়রি গিফট
করতে আজকে প্রথম দেখলাম।
হাঁসতে হাঁসতে বলে= এটা আবার কি? একটা পুরতন ডায়রি। জন্মদিনে কাউকে পুরাতন ডায়রি গিফট
করতে আজকে প্রথম দেখলাম।
হালিম= কিছু কিছু জিনিস যত পুরাতন হয়, তার দাম তত বেশি হয়। কখন শুনো নাই ওল্ড ইজ গোল্ড।
অভ্র= এই ছিরা ডায়রি তোমার কাছে গোলড মনে হয়।
হালিম = কারো কাছে তার থেকেও বেশি।
বলা শেষ করে অভ্রের কাছ থেকে ডায়রিটা ফেরত নিয়ে রাধাকে দিয়ে বলে= এটা তোমার জন্য।
রাধা= কি এটা?
হালিম= এটা একটা প্রেমের কাহিনী
No comments:
Post a Comment
comment