বিয়ের পর এটাই আমাদের প্রথম শীত। শীতের জন্য প্রথম যেদিন কম্বলটা বের করলাম, তিথি সেদিন আমাকে প্রশ্ন করেছিল। কম্বলটা এতো ছোট কেন?
সেদিন আমি উত্তর দেইনি। শুধুই মুচকি হেসেছিলাম।
সেদিন আমি উত্তর দেইনি। শুধুই মুচকি হেসেছিলাম।
কম্বলটা আসলেই একটু ছোট। তবে দুইজন ভালোবাবেই ঘুমানো যাবে এর মাঝে। কিন্তু একটু ছোট হওয়ার কারণে দুজনই দুজনার খুব কাছাকাছি ঘুমাতে হবে, আমরা সেভাবেই ঘুমাই। এতে কারও কোনো অভিযোগও ছিল না৷ তিথি এটাতে আরও খুশিই ছিল।
কিন্তু তিথির জন্য বিপত্তি ঘটলো সেদিন, যেদিন রাতে ওর সাথে আমার বেশ রাগারাগি হল। আমি যদিও বেশি চিল্লাচিল্লি করি না। অধিকাংশ সময় তিথি একাই বকবক করে আর আমি চুপচাপ শুনি৷ একসময় ও নিজেই থেমে যায়৷
আজকের রাগ করার পেছনে যদিও দোষটা আমারই। বেশ কিছুদিন হল তিথি আমাকে বলছে অফিস থেকে আসার সময় কিছু জিনিস কিনে আনতে। একটা ছোট লিস্টও দিয়েছে৷ মানিব্যাগে আছে সেটা এখনও। কিন্তু আমার মনে থাকে না একদিনও। আজ এর জন্য একটু বেশিই রাগ করেছে।
আজকের রাগ করার পেছনে যদিও দোষটা আমারই। বেশ কিছুদিন হল তিথি আমাকে বলছে অফিস থেকে আসার সময় কিছু জিনিস কিনে আনতে। একটা ছোট লিস্টও দিয়েছে৷ মানিব্যাগে আছে সেটা এখনও। কিন্তু আমার মনে থাকে না একদিনও। আজ এর জন্য একটু বেশিই রাগ করেছে।
সেই রাগটাই আজ সে ঘুমানোর সময় দেখাতে চাইলো। আমার থেকে বেশ অনেকটা দূরে শুয়েছে আজ। আমি কয়েকবার কাছে আসতে বললাম, তবুও আসলো না। পরে আমিও আর কিছু বলিনি।
কম্বলটা ছোট! তিথি কোনো রকমে কম্বলের নিচে আছে। আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য৷ আমিও আজ একটু বেশিই নড়ছি, যাতে কম্বল ওর শরীর থেকে সরে যায়। হচ্ছিলোও তাই, ও রাগে ফুসছিল আর আমি লুকিয়ে হাসছিলাম।
এভাবে বেশ অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। একসময় সে নিজেই একদম আমার শরীরের সাথে মিশে গেলো। তার হাত পা খুবই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আমি তিথিকে জড়িয়ে নিলাম। এরপর কানে কানে বললাম, কম্বলটা ছোট কেন? এবার বুঝলে তো মেয়ে? তিথি যেন আমার আরেকটু কাছে সরে এলো। মেয়েটা হালকা কাপছে শীতে। আমি আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
কম্বল
লিখা: মেঘ হাসান
লিখা: মেঘ হাসান
No comments:
Post a Comment
comment